ঢাকা, এপ্রিল ১৬ - মাত্র পাঁচ মাসের মন্ত্রিত্বের যবনিকা টানতে শেষবারের মতো রেল ভবনে এসে ‘বিমর্ষ’ দুই ঘণ্টা কেটেছে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের।
সহকারীর অর্থ কেলেঙ্কারির দায় নিজের কাঁধে নিয়ে বিদায়ের দিনে ‘রেলকে গতিশীল’ করার চেষ্টা অব্যাহত রাখার জন্য কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
গত এক মাস ধরে সচিবালয়ের দপ্তরে না বসে রেল ভবনেই কাজ করে আসছিলেন সুরঞ্জিত। অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনায় গত এক সপ্তাহ ধরে চাপের মুখে থাকা এই আওয়ামী লীগ নেতা রোববার রাতে গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন। এরপর থেকেই গুঞ্জন শুরু হয়- পদত্যাগ করছেন রেলমন্ত্রী।
রোববার রাতে তিনি কোনো কথা না বললেও তার সহকারী জানান, রেলভবনে সংবাদ সম্মেলনেই এ বিষয়ে কথা বলবেন সুরঞ্জিত।
সোমবার তিনি রেলভবনে পৌঁছান নির্ধারিত সময়ের ৪৫ মিনিট পর। দুপুর পৌনে ১টার দিকে জাতীয় পতাকাবাহী কালো রংয়ের গাড়ি থেকে নেমেই দ্বিতীয়তলায় নিজ কক্ষে চলে যান।
প্রায় আধা ঘণ্টা নিজ কক্ষে রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনের জন্য সভা কক্ষে উপস্থিত হন সুরঞ্জিত। এ সময় তাকে অনেকটাই বিমর্ষ মনে হচ্ছিল।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সহকারীর ‘অর্থ কেলেঙ্কারির’ সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা না থাকলেও এর দায় তিনিই নিচ্ছেন। ‘গণতন্ত্রের স্বার্থে’ মন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন তিনি।
প্রায় ২০ মিনিট সংবাদ সম্মেলনে কথা বলে নিজ কক্ষে ফেরেন বিদায়ী মন্ত্রী। প্রায় ১৫ মিনিট সেখানে একাকী কাটান।
এরপর রেলভবনের ষষ্ঠ তলার সভা কক্ষে রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রায় ৩০ মিনিট বিদায়ী বৈঠক করেন সুরঞ্জিত।
বৈঠকের বিষয়ে রেলের মহাপরিচালক আবু তাহের বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিদায়ী বক্তব্য তিনি (সুরঞ্জিত) রেলের চলমান উন্নয়নের জন্য সবাইকে কাজ করতে বলেছেন।”
মহাপরিচালক জানান, ‘অর্থ কেলেঙ্কারি’র ঘটনা তদন্তের জন্য যে কোনো সহযোগিতা দেবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
রেলের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বিদায়ী মন্ত্রী বৈঠকে কর্মকর্তাদের সামনে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে বক্তব্য দেন।
বৈঠক শেষে আবারো তিনি রেলভবনে মন্ত্রীর কক্ষে যান। সেখানে শেষবারের মতো ১৫ মিনিট কাটিয়ে রেলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিদায় জানিয়ে সেই কালো রংয়ের গাড়িতে চড়ে রেল ভবন ত্যাগ করেন।
তবে এ সময় তার গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়তে দেখা যায়নি। |
|
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন