সোমবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১২

বাংলা খবর : পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার দ্বিতীয় দিন

পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার দ্বিতীয় দিন


বিএনপি আহূত সকাল-সন্ধ্যা হরতালের দ্বিতীয় দিনে গতকাল রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ, ভাঙচুর, গাড়িতে অগি্নসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, মিছিলে বাধা ও লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটেছে। সিলেটের বিশ্বনাথে পুলিশ-জনতা দীর্ঘস্থায়ী সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন দুজন। ঢাকায় হরতালের সমর্থনে গুলশান এলাকায় মিছিল করার সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমানসহ ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সন্ধ্যায় তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান মিনুর মিছিলে লাঠিচার্জ ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। সিলেটে নগরীর বিভিন্ন স্থানে গতকাল ছয়টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় হরতাল সমর্থকরা। এ সময় অন্তত অর্ধশত গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। র্যাব-পুলিশের মারমুখী আচরণে বিক্ষুব্ধ পিকেটাররা বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন এলাকায় ভাঙচুর করে। ময়মনসিংহে পিকেটাররা হামলা চালিয়ে ট্রাক ও রিকশা ভাঙচুর করেছে। নোয়াখালীতে পিকেটাররা ৬টি গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় ৭ থানায় ১৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বিকালে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আজ তৃতীয় দিনে আবারও সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বিএনপি। বিএনপি দাবি করেছে গতকাল সারা দেশে ৩৭১ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আহত হয়েছেন ৭৯৫ জন। ঢাকা মহানগর পুলিশ জানায়, নগরীর ৭টি থানায় ৪১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গতকালও ঢাকা থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। তবে লঞ্চ, বিমান ও ট্রেন চলাচল ছিল স্বাভাবিক। লঞ্চ-ট্রেনে যাত্রী ছিল কম। নগরীর প্রধান সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও সংখ্যায় ছিল অনেক কম। তবে টেম্পো, অটোরিকশা ও রিকশা চলাচল ছিল লক্ষণীয়। রাজধানীর সব সুপার মার্কেট, বিপণি বিতান এবং অধিকাংশ দোকানপাট দ্বিতীয় দিনের মতো বন্ধ ছিল। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও ক্লাস হয়নি। সচিবালয়সহ সরকারি অফিসগুলোতে স্বাভাবিক কাজকর্ম চললেও উপস্থিতি ছিল কম। পুঁজিবাজারে লেনদেন ছিল অন্যদিনের তুলনায় কম। এদিকে গতকালও আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা হরতালের বিরোধিতা করে রাজপথে মিছিল সমাবেশ করে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে সকালে মিছিল নিয়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আসে নেতা-কর্মী-সমর্থকরা।

হরতাল শেষে দুই বাসে আগুন : হরতাল শেষে রাতে বিএনপি অফিসের সামনে পুলিশের রিকুইজিশন করা অনাবিল পরিবহনের একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। গতকাল রাত সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। একই সময়ে নগরীর মৎস্য ভবন মোড়ে চিড়িয়াখানা এঙ্প্রেস নামের অন্য একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা।

অবরুদ্ধ বিএনপি কার্যালয় : হরতাল চলাকালে দিনভর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয় ঘিরে রাখে পুলিশ ও র্যাব। বাইরে প্রবেশ কিংবা ভেতর থেকে কাউকে বের হতে দেওয়া হয়নি। এভাবে ঘিরে রাখাকে সরকারের ফ্যাসিস্ট আচরণ বলে আখ্যায়িত করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কার্যালয় ঘিরে তিন স্তরের বেষ্টনী তৈরি করে পুলিশ। র্যাব ছিল কার্যালয়ের বিপরীত পাশের ফুটপাতে, পাশাপাশি টহলও দেয় তারা। কার্যালয়ের ফটকের সামনেই একটি প্রিজন ভ্যানসহ জলকামান রাখা হয়। মির্জা ফখরুল দিনভর দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান করেন। তার সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ, আমান উল্লাহ আমান, নাজিমউদ্দিন আলম, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল প্রমুখ। বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ছাড়া পল্টন-মতিঝিল এলাকায় গতকাল বড় ধরনের কোনো বিশৃঙ্খলা ঘটেনি। সকাল ৬টার দিকে পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মতিঝিলে বিআরটিসি বাস কাউন্টারের সামনে পরপর চারটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের মিছিল : হরতালের সমর্থনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা সকাল ৭টায় শহীদ মিনার এলাকায় মিছিল বের করলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের হামলায় তিনজন আহত হয় এবং সুমন নামের এক কর্মীকে আটক করে পুলিশ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর হাসান সোয়ান, ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিলন এতে নেতৃত্ব দেন।

গুলশানে ১৫ জন আটক : হরতালের সমর্থনে মিছিল করার সময় গুলশান থেকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমানসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে নয়াপল্টন ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে থেকে আর পাঁচজনকে আটক করা হয়। গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, গুলশান-১ নম্বর এলাকার শান্তা গার্মেন্টসের সামনে থেকে সকালে ১০ জনকে আটক করা হয়।

এদের মধ্যে ঢাকা মহানগর মহিলা দলের সভাপতি সুলতানা আহমেদ, সাবেক এমপি সাহিদা আক্তার রীতা, নারী নেত্রী জেবা খান ও আমেনা খাতুন রয়েছেন। সকালে দলের নেতা-কর্মীরা গুলশান-১ নম্বর এলাকার শান্তা গার্মেন্টসের সামনে জড়ো হলে পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। পরে তারা গার্মেন্টের পেছনে আশ্রয় নিলে সেখান থেকে পুলিশ ১০ জনকে তুলে নিয়ে যায়।

টিকাটুলীতে বাস ভাঙচুর : সকালে পশ্চিম মালিবাগে হরতালের সমর্থনে বিএনপি মিছিল বের করলে লাঠিচার্জ করে তা ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। স্থানীয় সফেনা উইমেন্স ডেন্টাল কলেজের সামনে সকাল সোয়া ১০টার দিকে মিছিলটি বের করে রমনা থানা বিএনপি। এর আগে টিকাটুলী রাজধানী সুপার মার্কেট এলাকায় মহিলা দলের একটি ঝটিকা মিছিল বের হয়। মিছিল থেকে একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশ মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

সংসদ এলাকায় এমপিদের মিছিল : হরতালের সমর্থনে জাতীয় সংসদ ভবন চত্বরে গতকালও মিছিল করেছেন বিরোধীদলীয় এমপিরা। সকাল ১০টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ারের নেতৃত্বে এ মিছিল শুরু হয়। বিরোধী দলের ১৮ এমপি এতে অংশ নেন। পুরো এলাকা ঘুরে এসে আবার দক্ষিণ প্লাজায় এসে শেষ হয় মিছিল। মিছিল-পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এমকে আনোয়ার বলেন, ইলিয়াস আলীকে ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত তাদের এ আন্দোলন চলবে।

আইনজীবীদের মিছিল : গতকাল জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা-কর্মীরা সুপ্রিমকোর্ট চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী প্রমুখ বক্তৃতা করেন। আইনজীবীরা সমিতির সামনে থেকে মিছিল নিয়ে সুপ্রিমকোর্টের প্রধান গেট দিয়ে প্রেসক্লাবের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়।

মিরপুরে ককটেল বিস্ফোরণ : মিরপুর ১ নম্বরের বশির উদ্দীন আদর্শ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে গতকাল দুপুর ১২টায় ৩টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। দারুসসালাম থানার এএসআই মাহমুদুল হাসান জানান, কয়েকজন হরতাল সমর্থক এ ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। বিক্ষিপ্ত কয়েকটি ছোট ছোট মিছিল থেকে ৩টি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। আতঙ্কে আশপাশের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। তবে এতে কেউ আহত হননি। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বেলা আড়াইটায় ভিআইপি টাওয়ারের গলিতে দুটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এর আগে মতিঝিল বিআরটিসি বাস কাউন্টারের উল্টোদিকে বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশনের সামনে তিনটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এ বিষয়ে পুলিশের পেট্রল ইউনিট ইনচার্জ আবুল বাশার জানান, ককটেল ও ভাঙচুরের শব্দ পেয়ে দৈনিক বাংলা মোড় থেকে ছুটে আসি। ততক্ষণে পিকেটাররা পালিয়ে যায়।

মিরপুরে ভাঙচুর, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া : হরতালের দ্বিতীয় দিনে মিরপুরে ভাঙচুর, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সকালে মিরপুরের বিভিন্ন সড়কে হরতালের বিপক্ষে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা হরতালবিরোধী মিছিল বের করে। সকাল সাড়ে ৯টায় মিরপুর ১০ নম্বর গোলচক্কর থেকে কাফরুল থানা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের উদ্যোগে একটি হরতালবিরোধী মিছিল বের হয়। এ সময় মিরপুর থানা যুবদল হরতালের পক্ষে পাল্টা মিছিল বের করে। মিছিলটি মিরপুর ২ নম্বর সেকশনের কাছে এগিয়ে এলে পুলিশ বাধা দেয়। বাধা পেয়ে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় মিছিলকারীরা ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের সামনে একটি মিনিবাস ভাঙচুর করে। বেলা সাড়ে ১১টায় মিরপুর ১ নম্বর সেকশন থেকে মিরপুর থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আরেকটি হরতালবিরোধী মিছিল বের হয়। মিছিলটি মিরপুরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। কিছুক্ষণ পর মিরপুর ১ নম্বর সেকশনের চাইনিজ রেস্টুরেন্টের সামনে পর পর চারটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণের ঘটনায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় কেউ আহত হননি। হরতালের কারণে ব্যাংক, বীমা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। তবে ভোর থেকে সিটি সার্ভিসের কিছু বাস ও মিনিবাস চলাচল করেছে।

৭টি ককটেল উদ্ধারসহ দুজন গ্রেফতার : রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের এরোপ্লেনের গলি থেকে গতকাল ভোরে সাতটি ককটেল বোমা উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় ককটেল বহনের অভিযোগে ওবায়েদ (২২) ও এরশাদ (৪৮) নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযান পরিচালনাকারী গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার শহিদুল্লাহ বলেন, গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবিকে জানান তারা হরতালে ব্যবহারের উদ্দেশে ওই ককটেলগুলো সংগ্রহ করেছিল।

পুরনো চেহারায় বিএনপির কার্যালয় : হরতাল চলাকালে গতকালও ভোর থেকেই নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয় ঘিরে রাখে পুলিশ-র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বাইরে থেকে যেমন প্রবেশ করতে পারেননি, তেমনি কার্যালয় থেকেও বের হতে পারেননি বিএনপি নেতা-কর্মীরা। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দুই পাশে প্রিজন ভ্যান, জলকামান ছাড়াও পুরোদিনই বেশ কয়েকটি মাইক্রোবাস রাখা ছিল। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মূল ফটকে তিন স্তরে পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকে।

বিজয়নগর মোড় ও ফকিরাপুল মোড়ে কাঁটাতারের ব্যারিকেড রাখা হলেও যান চলাচলের সুযোগ করে দেওয়া হয়। সকাল সোয়া ৬টার দিকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর আগে যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান, আন্তর্জাতিক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলমসহ বিএনপির নেতারা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসতে থাকেন। তবে সকাল ৭টার দিকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পাশেই একটি ককটেল বিস্ফোরণের পরই হরতালের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বিএনপির দফতর সম্পাদক রিজভী আহমেদের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবস্থান নেওয়া কয়েকজন নেতা-কর্মী মিছিল বের করতে চাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক আবদুল মতিন ও যুগ্ম আহ্বায়ক ওবায়দুল হক নাসিরের নেতৃত্বে একটি মিছিল বাংলামোটর মোড় থেকে বেসরকারি টেলিভিশন বাংলাভিশন অফিসের কাছাকাছি যেতেই পুলিশ ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারেও অনুরূপ একটি মিছিল বের হলে পুলিশ ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন