মঙ্গলবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১২

দেশে আবার সোয়াইন ফ্লু


দেশে আবার সোয়াইন ফ্লু


Tue, Apr 17th, 2012 10:24 pm BdST
 
ফাইল ছবি


ঢাকা, এপ্রিল ১৭ - দু’বছর পর আবারো বাংলাদেশের মানুষের শরীরে সোয়াইন ফ্লু’র সংক্রমণ ঘটেছে।

রোগতত্ত্ব, রোগ গবেষণা ও রোগ নিয়ন্ত্রণ ইন্সটিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মাহমুদুর রহমান মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, উত্তরাঞ্চলের এক জেলায় নার্সিং হোস্টেলে এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।

ডা. মাহমুদুর বলেন, “পরীক্ষা করে অন্তত ১৪ জনের শরীরে এইচ১এন১ ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।”

তবে এ নিয়ে এ মুহূর্তে তারা উদ্বিগ্ন নন উল্লেখ করে আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, “বিষয়টা হলো দুবছর পর ভাইরাসটি ফিরে এসেছে।”

দেশের মানুষকে এতে আতঙ্কিত না হয়ে বরং এ বিষয়ে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

স¤প্রতি কুড়িগ্রাম নার্সিং ইন্সটিটিউটে ৪২ জন শিক্ষার্থী অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হলে জেলার সহকারী সিভিল সার্জন ঢাকায় সংবাদ দেন। এ খবরে আইইডিসিআর’র ছয় সদস্যের একটি দল গত ১২ এপ্রিল কুড়িগ্রাম যায়।

ওই শিক্ষার্থীরা জ্বর, কাশির পাশাপাশি মাঝেমাঝে বমি করছিলেন বলে জানান আইইডিসিআর পরিচালক।

তিনি বলেন, “চিকিৎসকরা দ্রুত চিকিৎসা দেওয়ায় তারা সবাই সেরে ওঠেন।”

এইচ১এন১ ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ঘটে ২০০৯ সালে মেক্সিকোয়। তারপর তা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। ওই বছরের ১১ জুন এইচ১এন১ ভাইরাস জ্বরকে মহামারী হিসাবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

বাংলাদেশে এ ভাইরাস সংক্রমিত ব্যক্তি প্রথম সনাক্ত হন ২০০৯ সালের ১৮ জুন। এর ফলে ওই সময় দেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

ডা. মাহমুদুর জানান, ওই সময় বাংলাদেশে ওই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আট জন মারা যান।

তবে তখন অনেকেরই এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “চিকিৎসকদের এই বিষয়টি স্মরণ রাখা উচিৎ। এই মৌসুমে জ্বরাক্রান্ত রোগীর সেবায় এন্টি-ভাইরাস ব্যবহার করা যেতে পারে।”

এই ভাইরাস আক্রান্তকে পৃথকভাবে রেখে চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন রোগ নিয়ন্ত্রণ ইন্সটিটিউটের পরিচালক মাহমুদুর। যেখানে সেখানে থুতু ফেলা থেকে বিরত থাকার আহ্বানও জানান তিনি।

কুড়িগ্রামে নার্সিং হোস্টেলে যাওয়া আইইডিসিআর’র প্রতিনিধিদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, “এই রোগ একজনের শরীর থেকে অন্যের শরীরে সংক্রমিত হতে পারে, তাই সেখানে দ্রুত এর বিস্তার ঘটে।”

কুড়িগ্রামে এইচ১এন১ ভাইরাসে আক্রান্তরা ছোটো কক্ষে বিছানা ভাগাভাগি করে থাকতেন বলে জানান ডা. মাহমুদুর।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন